কিডনি ভালো রাখার সঠিক উপায় জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম Trickbd ফ্রি এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আজকে আপনারা এই পোস্টের মাধ্যমে যা যা জানতে পারবেন তা হলো

  • বৃক্ক কি বা কিডনি কি?
  • কিডনির সুরক্ষার উপায়
  • স্বাভাবিক ব্যক্তির জন্য তথ্য, যেভাবে স্বাভাবিক ব্যক্তি ভালো রাখবেন কিডনি
  • কিডনি ভালো রাখার উপায় আরো ভালো করে বিস্তারিত আলোচনা
  • কিডনির রোগ হবার পর প্রয়োজনীয় সাবধানতা বা কিডনি রোগ হলে যা করবেন
বৃক্ক কি বা কিডনি কি? কিডনির সুরক্ষার উপায় স্বাভাবিক ব্যক্তির জন্য তথ্য, যেভাবে স্বাভাবিক ব্যক্তি ভালো রাখবেন কিডনি কিডনি ভালো রাখার উপায় আরো ভালো করে বিস্তারিত আলোচনা কিডনির রোগ হবার পর প্রয়োজনীয় সাবধানতা বা কিডনি রোগ হলে যা করবেন
কিডনি ভালো রাখার উপায় 


বৃক্ক কি বা কিডনি কি?

ইংরেজি: (Kidney) কিডনি হলো মেরুদণ্ডী প্রাণিদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা দেহের রেচন তন্ত্রের প্রধান অংশ। এর প্রধান কাজ রক্ত ছেঁকে বর্জ্য পদার্থ (যেমন ইউরিয়া) পৃথকীকরণ ও মূত্র উৎপাদন। মানব দেহের সমুদয় রক্ত দিনে প্রায় ৪০ বার বৃক্কের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়াও দেহে পানি ও তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ বা ইলেকট্রোলাইট যেমন সোডিয়ামপটাসিয়াম ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়া এটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হিসাবে হরমোন নিঃসরণ করে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

মানব দেহের ৫টি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গের মধ্যে কিডনি অন্যতম। মানুষের শরীরে দুইটি কিডনি থাকে। কিডনি শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করে এবং বিভিন্ন ধরনের দূষিত ও বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে শরীর থেকে বের করে দেয়। তাই কিডনি বিকল হলে বা ঠিকমত কাজ না করলে ঘটতে পারে নানা বিপত্তি। কিডনির যেকোন রোগ নীরব ঘাতক। এই ধরণের রোগের চিকিৎসাও বেশ ব্যয়বহুল। তাই আগে থেকেই কিডনির যত্ন নেয়া উচিত।তাই চলুন কিডনি ভালো রাখার কয়টি উপায় জেনে নেই

কিডনির সুরক্ষার উপায়

কিডনির বেশ কিছু রোগ খুব গম্ভীর হয়। আর এই রোগের সময়ে চিকিৎসা না হলে ক্ষতিকর হতে পারে। ক্রনিক কিডনি ফেলিওরের মতো রোগ পুনরায় পুরোপুরি ঠিক হয় না। এবং অস্তিম পর্যায়ে যার চিকিৎসা, যেমন ডায়ালিসিস আর কিডনির প্রতিস্থাপন খুবই ব্যয়বহুল। এইসব সুবিধা সব জায়গাতে পাওয়া যায় না। এই কারণে, Prevention is Better Thun Cure এই প্রবাদবাক্যের অনুসরণ করা দরকার। কিডনিকে খারাপ হবার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সবার জানা দরকার। 

এটি নিম্নলিখিত দুই ভাগে বিভক্ত: 

১.স্বাভাবিক ব্যক্তির জন্য তথ্য ।

২.কিডনি রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা ।

স্বাভাবিক ব্যক্তির জন্য তথ্য, যেভাবে স্বাভাবিক ব্যক্তি ভালো রাখবেন কিডনি

বৃক্ক কি বা কিডনি কি? কিডনির সুরক্ষার উপায় স্বাভাবিক ব্যক্তির জন্য তথ্য, যেভাবে স্বাভাবিক ব্যক্তি ভালো রাখবেন কিডনি কিডনি ভালো রাখার উপায় আরো ভালো করে বিস্তারিত আলোচনা কিডনির রোগ হবার পর প্রয়োজনীয় সাবধানতা বা কিডনি রোগ হলে যা করবেনWays to keep the kidneys healthy
কিডনি ভালো রাখার সঠিক উপায়

১. কিডনিকে স্বাস্থ্যবান রাখার জন্য সাধারণ সূচনা  রোজ ও লিটারের বেশি (১০-১২ গ্লাস) ভাল পান করা দরকার (যাদের শরীরে ফোলাভাব দেখা যায় না)। নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা 40 বছরের বেশি বয়স্কদের খাবারে নুনের মাত্রা কম করা। ধূমপান, তামাক, গুটিকা, মদ্যপান না করা। ডাক্তারবাবুর পরামর্শ ছাড়া অনাবশ্যক ওষুধ না খাওয়া। 

২. পরিবারে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের এবং পলিসিসটিক কিডনির রোগী থাকলে প্রয়োজনীয় সূচনা ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগ বংশানুক্রমিক। যদি পরিবারে এই রোগ থেকে থাকে তাহলে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের কুড়ি বছর ব্যাসের পর থেকে বছরে একবার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে নেওয়া দরকার যে এই দুটি রোগের উপস্থিতি আছে কি না। 

৩. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা :৪০ বছর বয়সের পর থেকে, শরীরে কোনও অসুবিধা না থাকা সত্ত্বেও, পরীক্ষা করালে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, মূত্র, ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিক অ্যাসিড ইত্যাদি কিডনির অনেক রোগ সংক্রান্ত লক্ষণ জানতে পারা যায়।

কিডনি ভালো রাখার উপায় নিচে আরো ভালো করে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো

১. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে

কিডনি ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি বা তরল খাবার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত ঘাম ঝরলে পানি খাওয়ার পরিমাণ আরো বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে কিডনিতে পাথর হয় না এবং এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।


২. লবণ কম খেতে হবে

খাবারে অতিরিক্ত লবন খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। মানুষের শরীরে প্রতিদিন মাত্র ১ চা চামচ লবণের চাহিদা থাকে। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত লবন খাওয়া পরিহার করার অভ্যাস করতে হবে।


৩. অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে  

গরুর মাংস বা এই ধরনের প্রাণিজ আমিষ খেলে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এমনকি চিপস, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ইন্সট্যান্ট নুডলস এবং লবণ দিয়ে ভাজা বাদামও কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। খাবার তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে কিডনির উপর চাপ পড়ে এবং কিডনির দূর্বল কোষগুলোর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন এড়িয়ে খাবার তালিকায় ডাল জাতীয় প্রোটিন রাখতে হবে। এছাড়া মাছ খাওয়া যেতে পারে।


৪. রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখার চেষ্টা করতে হবে

রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর উপরে থাকলে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিডনি ভালো রাখতে রক্তচাপ সবসময় ১৩০/৮০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করতে হবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা ও লবণ কম খাওয়া জরুরী।


৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

 ডায়াবেটিসনিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনির রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত রক্তের সুগারের পরিমাণ পরীক্ষা করান। সুগার বেশি থাকলে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।


৬. ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে  

কম বেশি প্রায় সব ওষুধই কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধগুলো কিডনির জন্য সব সময়ই হুমকিস্বরূপ। নিয়ম না জেনে বা নিজে নিজে ওষুধ কিনে খেলে অজান্তেই কিডনির বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই যেকোন ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।


৭. প্রয়োজনের বেশি ভিটামিন সি খাওয়া যাবে না

 মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি-এর প্রয়োজন নেই। নিয়মিত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম বা এর কম ভিটামিন সি গ্রহণ করুন।


৮. কোমল পানীয় ত্যাগ করতে হবে 

অনেকেই পানির বদলে কোমল পানীয় বা বিভিন্ন রকমের এনার্জি ড্রিংকস খেয়ে থাকেন। এ ধরনের পানীয়গুলো কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন এবং যখনই তৃষ্ণা পায় পানি খেয়ে নিন।


৯. ধূমপান ও মদপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে

ধূমপান ও মদপানের কারণে ধীরে ধীরে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে থাকে। ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও হ্রাস পায়। তাই এগুলোর অভ্যাস পরিহার করতে হবে।


১০. নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন অথবা পরিবারের কারো কিডনি সমস্যা থাকলে কিডনি রোগ হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। যাদের কিডনি রোগের ঝুঁকি আছে তাদের অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।

কিডনির রোগ হবার পর প্রয়োজনীয় সাবধানতা বা কিডনি রোগ হলে যা করবেন

১. কিডনি রোগের তথ্য এবং প্রাথমিক নির্ণয় মুখমণ্ডল আর পারে ফোলাভাব, খাবারে অরুচি, বমিভাব, রক ফ্যাকাসে হওয়া, দীর্ঘ সময় ধরে দুর্বলতা, রাত্রে অনেক বার প্রস্রাব করতে ওঠা, প্রস্রাব করতে অসুবিধা হওয়ার মতো লক্ষণ কিডনি রোগের সংকেত হতে পারে। এইসব অসুবিধায় পীড়িত ব্যক্তির যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার। উপরোক্ত লক্ষণের অনুপস্থিতিতে, যদি প্রস্রাবে প্রোটিন লক্ষ করা যায়, বা রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলেও কিডনির রোগ হয়ে থাকতে পারে। কিডনি রোগ প্রাথমিক অবস্থাতে নির্ণয়, রোগের প্রতিরক্ষা, নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সাবধানতা : ডায়ালিসিসে আসার রোগীদের প্রত্যেক তিনজনের মধ্যে একজনের কিডনি পুরোপুরি বিকল হবার কারণ হল ডায়াবিটিস। এই গভীর সমস্যাকে প্রতিরোধ করার জন্য ডায়াবিটিসের রোগীদের সর্বদা ওষুধ এবং চিকিৎসার দ্বারা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। প্রত্যেক রোগীর কিডনির উপর ডায়াবিটিসের প্রভাব তাড়াতাড়ি জানার জন্য প্রতি তিন মাসে একবার রক্তচাপ এবং প্রস্রাবে প্রোটিনের মাত্রা পরীক্ষা করানো দরকার। রক্তচাপের বৃদ্ধি, প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি, শরীরে ফোলাভাব, রক্তে বারবার শর্করার (গ্লুকোজ) মাত্রা কমে যাওয়া বা ডায়াবিটিসের জন্য প্রয়োজনীয় ইনসুলিনের মাত্রা কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে কিডনি খারাপ হবার সম্ভাবনা। যদি রোগীকে ডায়াবিটিসের কারণে উদ্ভূত চোখের সমস্যার জন্য লেজার চিকিৎসা করানো হয়ে থাকে, তাহলে এইসব রোগীর ক্ষেত্রে কিডনি খারাপ হবার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। কিডনিকে খারাপ হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য, ডায়াবিটিসের কারণে কিডনির প্রাথমিক চিকিৎসা দরকার। এজন্য প্রস্রাবের মাইক্রোঅ্যালবুমিন, ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষাই হল একমাত্র এবং সর্বশ্রেষ্ঠ পরীক্ষা। 

৩. উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সাবধানতা : উচ্চ রক্তচাপ ক্রনিক কিডনি ফেলিওরের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। অধিকাংশরোগীদের ক্ষেত্রে রক্তচাপের কোনও লক্ষ্য না থাকার কারণে, রোগী ব্লাড প্রেসারের ওষুধ অনিয়মিত ভাবে খায় বা বন্ধ করে দেয়। এইসব রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ দীর্ঘ সময় ধরে বলার থাকার ফলে কিডনি ফেল হবার আশা থাকে। সেজন্য উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের রক্ততাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই দরকার। আর কিডনির উপর এর প্রভাবের শীঘ্র নির্ণয়ের জন্য বছরে একবার প্রস্রাবের এবং রক্তের ক্রিয়েটিনিনের পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। 

৪. ক্রনিক কিডনি ফেলিওরের রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সাবধানতা যদি কিডনি ফেলিওরের রোগী কঠোরভাবে খাদ্যপানীয় নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত চিকিৎসা এবং ঔষধ সেবন করেন তাহলে কিডনি বিকল হবার প্রক্রিয়াকে মন্থর করা সম্ভব এবং ডায়ালিসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো চিকিৎসাকে এড়ানো সম্ভব। ক্রনিক কিডনি ফেলিওরের রোগীর কিডনিকে ক্ষতির থেকে বাচানোর জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল উচ্চ রক্তচাপের উপর সর্বনা এবং পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ। এই জন্য রোগীর বাড়িতেই দুই থেকে তিনবার বি. পি. মেপে চার্ট বানানো দরকার। তাহলে ডাক্তারবাবু এই চার্ট দেখে ঔষধের রদবদল করতে পারবেন। রক্তচাপ সর্বদা ১৪০/৮৪ এবং এর নীচে লাভদায়ক এবং আবশ্যক। ১৩০-৭০-এর কম থাকলে আরো ভালো। ক্রনিক কিডনি ফেলিওরের রোগীদের ক্ষেত্রে মূত্রমার্গে বাধা, পাথর প্রস্রাবে অসুবিধা বা অন্য সংক্রমণ, শরীরে জলের মাত্রা কম বা বেশি হওয়া (Dehydration) ইত্যাদির যথাসময়ে তৎপরতার সঙ্গে চিকিৎসা করালে কিডনির কার্যক্ষমতা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ঠিক রাখা সম্ভব। 

৫. বংশানুক্রমিক রোগ পি. কে. ডি'র শীর্ষ নির্ণয় ও চিকিৎসা : পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ (পি. কে. ডি) একটি বংশানুক্রমিক রোগ। সেজন্য পরিবারে কোনও একজনের এই রোগ হলে পরিবারের বাকি সদস্যদের একবার পরীক্ষা করে এই রোগের অস্তিত্ব তাদের শরীরে যাচাই করে নেওয়া দরকার। 

৬. বয়স্কদের প্রস্রাবে বার বার সংক্রমণের উচিত চিকিৎসা যে কোনও বয়সে, যদি প্রস্রাব বার বার হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে এর কারণ জানা দরকার। এর কারণ মুত্রমার্গে বাধা, পাথর ইত্যাদি হলে উচিত সময়ে চিকিৎসার দ্বারা কিডনিকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব।

৭. পাথর এবং বি. পি. এইচ. এর সঠিক চিকিৎসা : বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিডনি অথবা মুত্রমার্গে পাথরের নির্ণয় হওয়া সত্ত্বেও বিশেষকিছু অসুবিধা হবার কারণে রোগীর চিকিৎসার প্রতি অবহেলা হয়ে থাকে। একইভাবে, বয়সকালে প্রস্টেটের অসুবিধার (বি. পি. এইচ) কারণে উৎপন্ন লক্ষণের প্রতিও অবহেলা করে থাকে। এইসব রোগীদের ক্ষেত্রে দীর্ঘসময় পরে কিডনির ক্ষতি হবার ভয় থাকে। এইজন্য সময় থাকতে ডাক্তারবাবুর পরামর্শমতো চিকিৎসা শুরু করা দরকার। 

৮. কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা সাধারণ 30 বছরের কমব্যাস্ত ব্যক্তিদের উচ্চরচাপ অস্বাভাবিক। কম বয়সে উচ্চরক্তচাপের অন্যতম প্রধান কারণ হল কিডনির রোগ। এইজন্য কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ হলে কিডনির পরীক্ষা অবশ্যই করানো দরকার। 

৯. অ্যাকিউট কিডনি ফেলিওরের শীঘ্র চিকিৎসা হঠাৎ কিডনি খারাপ হবার কারণগুলি হল, ডাইরিয়া, বমি, ম্যালেরিয়া, অত্যধিক রক্তস্রাব, রক্তের মারাত্মক সংক্রমণ, মুত্রমার্থে অবরোধ ইত্যাদি। এই সব সমস্যাগুলির শীঘ্র, উচিত এবং সম্পূর্ণ চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনিকে খারাপ হবার হাত থেকে বাঁচানো 

১০. ডাক্তারবাবুর পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধসেবন সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে যে ঔষধগুলি সেবন করা হয় (যেমন যন্ত্রণা কমানোর ঔষধ) সেগুলি দীর্ঘদিন খেলে কিডনি খারাপ হবার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য অনাবশ্যক ওষুধ খাওয়ার প্রবৃত্তিকে এড়ানো দরকার, এবং অনাবশ্যক ঔষধাবলি ডাক্তারবাবুর পরামর্শ মতো নির্ধারিত মাত্রা এবং সময়েই নেওয়া লাভজনক। সমস্ত আয়ুর্বেদিক ওষুধই ভাল এবং উপকারী—এটি একটি ভুল ধারণা। বেশ কিছু ভারী ধাতুর ভস্ম কিডনির জন্য খুবই ক্ষতিকারক। 

১১. একটি কিডনিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় সাবধানতা এক কিডনিযুক্ত ব্যক্তিদের অধিক জল খাওয়া, প্রস্রাবের অন্যান্য সংক্রমণের শীঘ্র এবং উচিত চিকিৎসা করানো এবং নিয়মিত রূপে ডাক্তার দেখানো খুবই জরুরি।


পোস্টে কোথাও ভুল ক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন সকল প্রকার টিপস এবং ট্রিক পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ট্রিকবিডিফ্রি Trickbd Free এর সাথেই থাকুন আল্লাহ হাফেজ। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url