ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট কাকে বলে?

ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট কাকে বলে?

ট্রিকবিডিফ্রি.কম TrickbdFree.com  এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আজকে আমরা জানবো ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট কাকে বলে?ইন্টারনেটের ইতিহাস কি? ইন্টারনেট আবিষ্কার এর ইতিহাস?

ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট কাকে বলে?

ইন্টারনেটের সংজ্ঞা সমূহঃ
নিচে ইন্টারনেটের ৬টি সংজ্ঞা দেওয়া হলো

১.ইন্টারনেট হলো পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা।বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেকগুলো নেটওয়ার্কের সমন্বিত ব্যবস্থার নামই ইন্টারনেট।

২.ইন্টারনেট পৃথিবী বিস্তৃত একটি বৃহত্তম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। এটি অসংখ্য ছোট বা বড় নেটওয়ার্কের সংযোগ তৈরি একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক।

৩.ইন্টারনেট (Internet) হলো পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমবায়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারের সাথে ভিন্ন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ইন্টারনেটওয়ার্কিং (Internetworking) বলা হয়। সে হিসেবে ইন্টারনেটকে নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটওয়ার্কও বলা হয়।

৪.বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমন্বিত অবস্থাই ইন্টারনেট।

৫.ইন্টারনেট হলো সারা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত, পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং যেখানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়। ইন্টারনেট হচ্ছে ইন্টারকানেক্টেড নেট্ওয়ার্ক(interconnected network) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটা বিশেষ গেটওয়ে বা রাউটারের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো একে-অপরের সাথে সংযোগ করার মাধ্যমে গঠিত হয়। ইন্টারনেটকে প্রায়ই নেট বলা হয়ে থাকে

৬.ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের এমন একটি বিশাল জাল, যেটা পুরো বিশ্বের কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে পরস্পরে সংযুক্ত হয়ে আছে।

ইন্টারনেটের ইতিহাস

ইন্টারনেটে আবিষ্কারের ইতিহাসঃ
আরপানেট (Arpanet Advanced Research Projects Administration Network) দিয়ে ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু। ১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলস-এর UCLA ল্যাবরেটরিতে আরপানেটের মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রথম কম্পিউটার যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হয়। এরপর ৫ ডিসেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ একটি গবেষণা প্রকল্পের আওতায় লস এঞ্জেলস, মেনলো পার্ক, সান্তা বারবারা ও উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কের আওতায় এনে আরপানেট এর অফিসিয়াল উদ্বোধন ঘোষণা করে। প্রাথমিক অবস্থায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এ নেটওয়ার্কের ব্যবহার উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু সে ব্যবস্থা বেশি দিন স্থায়ীহয়নি। তারপর ১৯৮২ সালে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগের উপযোগী ইন্টারনেট প্রোটোকল টিসিপি/আইপি উদ্ভাবনের সাথে ইন্টারনেট শব্দটি চালু হয়। ২০০০ সালে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হোস্ট বা সেবাদানকারী কম্পিউটারের সংখ্যা ছিল একশ মিলিয়ন এবং ওয়ার্কস্টেশন কম্পিউটারের সংখ্যা প্রায় পাঁচশ মিলিয়ন। বর্তমানে বিশ্বে ইন্টারনেটে সংযুক্ত কম্পিউটার-এর সংখ্যা প্রতি বছর দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এই সংখ্যা কয়েক বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। ইন্টারনেট সম্প্রসারণের প্রক্রিয়াকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। ১৯৬৯ হতে ১৯৮৩ পর্যন্ত পরীক্ষামূলক পর্যায়; এ সময়ে নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ হয় ধীর গতিতে এবং বিশটি দেশে সংযুক্ত কম্পিউটারের সংখ্যা ছিল মাত্র দুইশত। সম্প্রসারণের দ্বিতীয় পর্যায় হলো আশির দশক। ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন নেটওয়ার্ক (NSFNET) প্রতিষ্ঠার ফলে আরপানেটের প্রভাব কমে যায় এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক উন্নয়নে শরিক হয়। অবশেষে ১৯৯০। সালে আরপানেটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং এটি ইন্টারনেট নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৮৯ সালে আইএসপি (ISP-Internet Service Provider) বা ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান চালুর ফলে সকলের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ইন্টারনেটের উপাদান হলো এর ব্যবহারকারী, তথ্য, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, কম্পিউটার প্রভৃতি। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক হিসেবে ইন্টারনেটকে অভিহিত করা হয়ে থাকে। কারণ বর্তমানে ইন্টারনেট সারা পৃথিবীকে গ্লোবাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। ইন্টারনেটে সংযুক্ত কোনো কম্পিউটার বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য সার্ভার ও কম্পিউটার থেকে তথ্য অ্যাকসেস করতে পারে। ইন্টারনেট বর্তমান বিশ্বের গতিময়তার মাইলফলক। এটি তথ্যের এক বিশাল ভান্ডার। যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদানের এটি একটি অন্যতম মাধ্যম। ইন্টারনেট দিয়ে বিভিন্নভাবে তথ্য সঞ্চালন ও আহরণ করা যায়। নিত্য নতুন উদ্ভাবনের ফলে দিন দিন ইন্টারনেটের সুযোগ-সুবিধা এবং তথ্যের সমারোহ বেড়েচলেছে। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন শব্দ ও বিষয়। সাইবার ক্যাশ, সাইবার ক্যাফ, সাইবার কয়েন, ইন্টারনেট কমার্স, ইন্টারনেট ফোন, ইলেকট্রনিক মেইল, ইলেকট্রনিক বুক, ইলেকট্রনিক লাইব্রেরি, ইলেকট্রনিক ক্যাম্পাস এ ধরনের কয়েকটি বিষয়।

পোস্ট কোথাও ভুল হলে ক্ষমা করবেন সকল প্রকার টিপস এবং ট্রিক পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ট্রিকবিডিফ্রি এর সাথেই থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
Next Post Previous Post
1 Comments
  • নামহীন
    নামহীন ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ এ ১০:০৮ PM

    Nice

Add Comment
comment url