হিরো আলম এখন কোটিপতি! Hero Alam is now a millionaire!

হিরো আলম এখন কোটিপতি! Hero Alam is now a millionaire!


ইন্টারনেটে ভাইরাল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত এবং সমালোচিতো নাম আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বগুড়ার ডিসলাইনের ব্যাবসা করতেন আগে বা ক্যাবল অপারেটর এর কাজ করতেন। এখন তাকে সারা বিশ্বের মানুষ চিনে। তাকে ঘিরে হাজার সমালোচনা। তবে কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করে আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন হিরো আলম।
হিরো আলম এখন কোটিপতি! Hero Alam is now a millionaire!


বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হিরো আলমের চার বছর আগে সম্পদ বলতে তেমন কিছুই ছিল না।

হিরো আলোমের অবস্থা ২০১৮


২০১৮ সালে তার ব্যাংক হিসাবে এক হাজার টাকা, ২১ শতাংশ কৃষিজমি, ৮৭ হাজার টাকার একটি পুরোনো মোটরসাইকেল, আড়াই লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিকস পণ্য এবং স্ত্রীর এক ভরি স্বর্ণালংকার ছিল। আর আয় বলতে ছিল, কৃষি খাত থেকে আসা ৬ হাজার টাকা এবং অভিনয় থেকে আসা ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা। সে সময় তার নিজের বাড়ি-গাড়িও ছিল না।

হিরো আলমের অবস্থা ২০২৩

চার বছরের ব্যবধানে কোটিপতি হয়ে গেছেন হিরো আলম। নয় শতক জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন। চলাফেরার জন্য ব্যবহার করছেন কয়েক লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি। কৃষিজমির পরিমাণ ২১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশ। স্ত্রীর এক ভরি স্বর্ণালংকার বেড়ে ১০ ভরি হয়েছে। ব্যাংকে জমা আছে ৩০ হাজার টাকা। এছাড়াও ৫৫ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র করেছেন তিনি।


বগুড়ার দুই আসনে (বগুড়া-৪ ও ৬) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন হিরো আলম। তবে তার নির্বাচনি ব্যয়ের উৎস সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

হিরো আলমের ২০১৮ সালের নির্বাচন


২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে লড়েন হিরো আলম। সে সময় মনোনয়নপত্র ও হলফনামার সঙ্গে নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎস বিবরণী দাখিল করেছিলেন। সর্বমোট ১০ লাখ টাকা ব্যয়ের কথা উল্লেখ করেছিলেন। যার মধ্যে নিজের অভিনয় ও ব্যবসা থেকে ৫ লাখ টাকা এবং শ্বশুর, ফুফা ও ভগ্নিপতির কাছ থেকে আরও ৫ লাখ টাকা ধার করে নির্বাচনি ব্যয় মেটানোর কথা জানিয়েছিলেন।২০১৮ সালে নির্বাচনে ভোটে অনিয়ম হচ্ছে বলে হিরো আলম ভোট বর্জন করেন।

এদিকে অনেকেই হিরো আলমের আয়ের উৎস জানতে চান। তিনি কীভাবে সিনেমা প্রযোজনা করেন, নির্বাচনে খরচের টাকা কোথায় থেকে পাচ্ছে সেসব জানতে চান।

এ প্রসঙ্গে একটি গণমাধ্যমকে হিরো আলম বলেন, আমার কোনো কালোটাকা নেই। বিভিন্ন স্টেজ শো করে উপার্জন করি। এ ছাড়াও অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক, চলচ্চিত্র ও মিউজিক ভিডিও নির্মাণের ব্যবসা করি। ইউটিউব থেকেও আয় করি। একটু একটু করে সঞ্চয় জমিয়ে কিছু করার চেষ্টা করছি।

নির্বাচনি হলফনামায় উল্লেখিত সম্পদ প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমার কোনো অসৎ রোজগারের অর্থ নেই। হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য দিয়েছি, সবই সৎভাবে উপার্জিত।

হিরো আলমের বিখ্যাত উগান্ডা গান করে সারা বিশ্বে পরিচিত লাভ করেছেন। এছারা তিনি আরবি গান বের করেন। 

হিরো আলম কখন কিশের ভান ধরে বুঝা বড় মুসকিল তিনি, যখন যা মনে চাই তাই করেন।

হিরো আলমের যে যে কাজ করেন?

অতিতে হিরো আলম
১.ডিস লাইনের ব্যবসায়িক

বর্তমানে হিরো আলম
২.অভিনেতা
৩.গায়ক
৪.কবি
৫.ইউটিউবার
৬.প্রযোজক
৭.পরিচালক
৮.এম পি হওয়ার চেষ্টাই নিয়জিত

আরো কি করবে সেগুলো দেখার অপেক্ষায় আমরা।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url