নিম গাছের উপকারিতা Benefits of Neem Tree

নিম গাছের উপকারিতা Benefits of Neem Tree

ট্রিকবিডি Trickbd free এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানবো নিম গাছের উপকারিতা।
নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্ত নালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহন উন্নত করে। ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।Benefits of Neem Treeনিম গাছের উপকারিতা

নিম গাছের উপকারিতা 

নিম একটি ওষধিগুণ সম্পন্ন গাছ। নিম গাছের ডাল, পাতা, ছাল,ফল সবই কাজে লাগে। যেমন, নিমের কাঠ খুব শক্ত। নিম কাঠে উইপোকা বাসা বাঁধে না। ফলে নিম কাঠে কখনও ঘুণ ধরে না।শুধু উইপোকাই নয়, কোনো পোকামাকড় ই ধরে না। তাই নিম কাঠ দিয়ে আসবাবপত্রও তৈরি করা হয়। আসুন এ বার নিমের আশ্চর্য ওষধিগুণ ও কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক..


● চুলকানী, খোস, পাঁচড়া ইত্যাদি রোগে নিমপাতা অত্যন্ত উপকারী। গরম পানি দ্বারা ঘা ধৌত করে তারপর নিমপাতা সিদ্ধ করে কাঁচা হলুদসহ পাতাগুলি বেটে ঘায়ের উপর লাগালে চুলকানী, খোস পাঁচড়া শুকিয়ে যায় ।


● কৃমি রোগের জন্য নিম গাছের ছালদু'আনা পরিমাণ চূর্ণ করে কিছু লবণসহ দুই/তিন দিন সেবন করলে পেটের যাবতীয় কৃমি মরে যায় ।


● নিমের পাতা কাঁচা হলুদের সঙ্গে পিষিয়ে বসন্তের     গুটিতে প্রলেপ দিলে বসন্তের গুটি শুকিয়ে যায় ।



● মাথার ত্বকের চুলকানির সমস্যায় নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগাতে পারলে এই চুলকানির সমস্যা কমে যায়। তাছাড়া নিমপাতার রসে চুলের গোড়া শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা বা রুক্ষ ভাব কমে যায় এবং নতুন চুল গজাতে শুরু করে।

● শুধুমাত্র চুলের নয় ত্বকের যে কোনও চুলকানির সমস্যায় নিমপাতা বেটে লাগাতে পারলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।


● গায়ের দুর্গন্ধ বা ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।


● নিয়মিত সামান্য পরিমাণে নিমপাতা খেতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ নানা লিভারের সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। এরই সঙ্গে রক্ত পরিশুদ্ধ করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত, ক্ষতিকর উপাদান বের করে শরীর সুস্থ-সতেজ ও রোগমুক্ত রাখতে নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী।


● নিম তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী।


● নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক (ফাঙ্গাস) বিরোধী। তাই ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের আক্রমণের হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষিত করতে নিমপাতা খুবই কার্যকরী! ব্রণর সমস্যা থেকে দ্রুত নিস্তার পেতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন।


● ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ ভাল করে বেটে মেখে দেখুন। খেয়াল রাখতে হবে, মিশ্রণে নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ যেন কম হবে। তবে হলুদ ব্যবহার করার পর কয়েক ঘণ্টা রোদ এড়িয়ে চলাই ভাল।


● দাঁতের জন্য নিমের ডাল খুবই উপকারী। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে আর দাঁতের ফাঁকে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতে নিম বেশ কার্যকরী।


● কেটে-ছড়ে গেলে বা পুড়ে গেলে ক্ষত স্থানে নিম পাতার রস ভেষজ ওষুধের মতো কাজ করে।


● নিম পাতা রোদে শুকিয়ে ভাল করে গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারলে পরবর্তীকালে তা ফেস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।


● নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্ত নালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহন উন্নত করে। ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।

● বিষ ফোঁড়া, অন্য যে কোন ফোঁড়া না পাকলে কাঁচা নিমপাতা কিছু পরিমাণ পানির সঙ্গে বেটে ফোঁড়ার পার্শ্বে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া শীঘ্রই পেকে যাবে। 


● নিম গাছের ফল, পাতা, ছাল, মূল, প্রত্যেকটি আধা পোয়া হিসাবে নিয়ে চার সের পানিতে সিদ্ধ করে একসের থাকতে নামিয়ে ছেকে আবার জ্বাল দিতে থাকবে । যখন এক পোয়া পরিমাণ থাকবে তখন নামিয়ে রাখবে, ইহাই নিমের কাথ । আর ইহা অনেক রোগের ঔষধ । দৈনিক তিনবার এক তোলা মাত্রায় নিমের ক্বাথ সেবন করলে সকল প্রকার পুরাতন জ্বর ভাল হয় । সর্দিও আরোগ্য হয় । নিমপাতা ঘৃতের সঙ্গে ভেজে সেই ঘৃত পুরাতন ক্ষত বা নালী ঘায়ে লাগালে উহা ভাল হয় ।


আজকের মতো বিদায় আবারো কোনো নতুন পোস্ট নিয়ে আসবো সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন।সকল প্রকার টিপস এবং ট্রিক পেতে আমাদের ওয়েবসাইট Trickbd Free এর সাথেই থাকুন আল্লাহ হাফেজ। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url